বিপিএলের ৭ম আসরের বর্ণিল উদ্বোধনী আয়োজনে মঞ্চে উঠে দর্শকদের মাতালেন বলিউড তারকা সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ।রাত ১০টা ৫০ মিনিটে তারা দুজনে একসঙ্গে মঞ্চ মাতান। যার মধ্য দিয়ে বিপিএলের ৭ম আসরের বর্ণিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

মঞ্চে পারফর্মেন্সের পর সালমান ও ক্যাটরিনা স্টেজে কথা বলেন। এসময় ক্যাটরিনা সালাম দিয়েই বলেন, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’ এরপর সালমান খান বাংলায় কথা বলেন।

সালমান খান বাংলায় বলেন, তিনি বাংলাদেশকে ভালবাসেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধুকেও সম্মান প্রদর্শন করেন।

এর আগে নীল পোশাকের ঝলকানিতে এককভাবে মঞ্চ মাতিয়েছেন ক্যাটরিনা কাইফ। রাত ১০টা ৫ মিনিটে মঞ্চে উঠেছেন তিনি।

তারপর আসেন সালমান খান। রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মঞ্চে উঠেন তিনি। তারপরই তাদের দুজনের যৌথ পারফরমেন্স দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।

ক্যাটরিনার আগে ভারতের জনপ্রিয় লোক গায়ক কৈলাশ খের গান করেন। বিশ্বের মোট ২০টি ভাষায় গান গেয়েছেন এই গুণী শিল্পী। যার মধ্যে বাংলাও আছে। তারই প্রমাণ মিলল মিরপুর স্টেডিয়ামে। পারফর্মেন্সের শেষ দিকে তিনি পরিস্কার বাংলায় গেয়ে ওঠেন এন্ড্রু কিশোরের বিখ্যাত ‌গান ‌‌ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে…। গানটির অন্তরা কিছুটা চেঞ্চ করে তিনি এক লাইনে বলেন ‘ডাক দিয়াছে বাংলাদেশ আমারে…।’ সুরে সুরে কৈলাশের এই সৌজন্যতায় হর্ষধ্বনি ওঠে স্টেডিয়ামজুড়ে।

এর আগে মঞ্চে উঠেই নগর বাউল জেমসের কণ্ঠে ভেসে আসল ‘সুলতানা বিবিয়ানা’। দর্শকের মাঝে পড়ে গেল সাড়া। জেমস এসেছেন! গানটি শেষ হতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিপিএলের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণার পর হয় আতশবাজি। যার শেষে আবার শুরু হয় জেমসের গান।

এবার জেমস শুরু করেন তার বিখ্যাত গান ‘মা’ দিয়ে। এই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গানটি শুনে হাজারো শ্রোতার সঙ্গে আবেগে ভাসেন প্রেসিডেন্ট বক্সে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি গেয়ে শোনান তার হিন্দি প্লেব্যাক ‘চাল চালে’ এবং বিখ্যাত গান ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব তুমি আমার’। এই চারটি গান গেয়ে দর্শকদের তুমুল হর্ষধ্বনির মাঝে মঞ্চ ছাড়েন নগর বাউল জেমস।

এরপর মঞ্চে আসেন ভারতের সুপারস্টার সোনু নিগম। দুইটি গান গাওয়ার পরেই তার কণ্ঠে শোনা গেলো ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’ গানটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ঠোঁট মেলালেন সেই গানে। সোনু নিগমের পরের গানটিও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অনুপ্রেরণামূলক ‘শোন একটি মুজিবুরের থেকে’ গানটির সঙ্গে ঠোঁট মেলান প্রধানমন্ত্রী। দেশাত্ববোধক গান শেষেই তিনি শুরু করেন তার জনপ্রিয়তম হিন্দি গানগুলো।